আগামী ২৫ জুন খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে করে পশুবাহী গাড়িগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর অপেক্ষা করতে হবে না। এর সাথে অনেকটা কমবে যানবাহন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের খরচ ও সময়। দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে অসুস্থ হয়ে পশুর মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকবে না।
যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীরাও ট্রাকে করে গবাদিপশু ঢাকায় আনেন। পদ্মা পার হতে এসব ট্রাকের জন্য এতদিন ফেরিই ছিল ভরসা। বিড়ম্বনার সঙ্গে যুক্ত হতো বাড়তি খরচ। ব্যবসায়ীরা তটস্থ থাকতেন, অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডায় পশু আবার মরে না যায়।
এসব কারণে এবার ঢাকায় কোরবানির পশুর সরবরাহ দ্বিগুণ বাড়বে। পশু ব্যবসায়ী ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য। আগের থেকে সময় কম লাগবে বলে ব্যবসায়ীরা রাজধানীর বাজারে পশু বিক্রি করে দ্রুত ফিরেও যেতে পারবেন।
এতে ট্রাক মালিকরা পাবেন অতিরিক্ত ট্রিপ দিয়ে বেশি আয় করার সুযোগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাদারীপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, যশোর থেকে পশু নিয়ে খামারিরা সরাসরি রাজধানীতে আসেন ভালো দামের আশায়। পরিবহন খরচ কমাতে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরের অধিকাংশ পশু ব্যবসায়ী ট্রলারে পশু নিয়ে রাজধানীতে আসেন।
বাকিরা আনেন ট্রাকে। অনেক সময় ফেরিঘাটে অসুস্থ গরু জবাই করে কম দামে মাংস বিক্রির নজিরও রয়েছে। এ বছর পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রাক পার হবে বলে ব্যাপারীরা খুব একটা টেনশনে নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।